ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ইসকন নেতার আবেদন খারিজ করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০১:১৩:৫০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৫-০২-২০২৫ ০১:১৩:৫০ অপরাহ্ন
​বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ইসকন নেতার আবেদন খারিজ করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি
বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধে ভারত সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন এক ইসকন নেতা। কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। খবর এনডিটিভি 

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করেন। একই সঙ্গে তারা বলেন, অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোর্ট কীভাবে মন্তব্য করতে পারে। বেঞ্চ আরও মন্তব্য করে যে, এমন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা আদালতের জন্য ‘অস্বাভাবিক’ হবে।পাঞ্জাবের লুধিয়ানার এক ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাজেশ ধাণ্ডা এই আবেদন করেছিলেন। তিনি লুধিয়ানার ‘ভগবান জগন্নাথ রথযাত্রা মহোৎসব কমিটির’ চেয়ারম্যান এবং ইসকন মন্দির স্টিয়ারিং বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবির পাশাপাশি, এই আবেদনে আরও দাবি করেন, বাংলাদেশে সহিংসতার কারণে ভারতে প্রবেশ করা হিন্দুদের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হোক।

এই আবেদনে সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছিল, যাতে কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় অথবা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।  এছাড়া, এই আবেদনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সংখ্যালঘুদের সহায়তা প্রদান করে ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দেয়।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা, আধুনিক ইতিহাসে বহু সার্বভৌম রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আদালত ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে অন্য দেশগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় উত্থাপন করেছে। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।  

আবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (হিন্দু, শিখ, জৈন ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু) অবস্থা ভয়াবহ এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধারাবাহিক ধর্মীয় আক্রমণের ফলে তারা দেশত্যাগের সম্মুখীন। বাংলাদেশ সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে সেখানকার হিন্দুদের ওপর চলমান নৃশংসতা বন্ধ হয়।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ